কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার স্বপন কুমার দত্ত।
অদ্য বুধবার (০৬/০২/২০২৪ইং) উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া জান্নাত (২২) এর পারিবারিক বিরোধ মিমাংসা নিষ্পত্তি করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী স্থানীয়ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন বিগত ২০/৩/২৩ তারিখে বিবাদী একই উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের মৃত মুর্শিদ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলতাব উদ্দিনের সাথে বিবাহ হয়।
মহিলা অফিসার জানান, ভুক্তভোগীর সহিত ইসলামী শরিয়ত ও রেজিঃ কৃত কাবিন মূলে বিবাহ হয় । ভুক্তভোগীর স্বামী আলতাব উদ্দিন সৌদি প্রবাসী থাকায় সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় বিয়ে টিকানো সম্ভব না হওয়ায় দেনমোহর ও ইদ্দতকালীন সময় বাবদ নগদ ১,৭৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচাত্তর টাকা) সহ একটি অংটি, খাট, ডেসিং টেবিল আদায় করে সুমাইয়া জান্নাতের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
অন্য দিকে উপজেলার পৌরসভার টান লক্ষীয়া গ্রামের মৃত আপেল মিয়া এবং আনোয়ারা খাতুনের মেয়ে ও দিনমজুর মানিক মিয়ার স্ত্রী চাঁদনী আক্তার (২০) কে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির (মাতৃত্বকালীন/শিশু ভাতা) ভাতাভুগীর আওতাভুক্ত করে দিয়েছেন।
মহিলা অফিসার আরও জানান, দুইবোনের মধ্যে বড় বোন ঝিনুক মালা আগুনে পুড়ে মুখমণ্ডল বিকৃত (প্রতিবন্ধী)। প্রতিদিন থানার পাশে বসে মানুষের দয়ায় (সাহায্যে) জীবিকা নির্বাহ করে। চাঁদনী সেদিন বোনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অসহায় চাঁদনী আক্তার মানুষের বাসায় কাজ করত। এখন অসুস্থ থাকায় অনাগত শিশুর ভবিষ্যত চিন্তা করে আমি তাকে অফিসে যোগাযোগ করতে বলি। অনেক ঘুরাঘুরি করে পৌরসভার স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিপন এঁর সহায়তায় কাগজপত্র সংগ্রহ করে। তিনি (০৬) ছয় মাসের গর্ভবতী। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় তাকে ভাতাভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করি। প্রতিমাসে ৮০০/- (আটশত) টাকা করে তিন বছর পাবেন এই হত দরিদ্র পরিবারটি।
এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের নজর কেড়েছেন মানবিক মহিলা অফিসার। তিনি এর পূর্বেও বিভিন্ন মানবিক কাজ করে প্রশংসা খুঁড়িয়েছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS